মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কালীন সাগরে মাছ ধরা জেলেদের সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০ মে থেকে ২৩ জুলাই এ ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মৎস্যজীবিদের সহায়তা হিসেবে সরকার মাসে পরিবার প্রতি ৪০ কেজি হারে ৬৫ দিনে ৮৬ কেজি চাল বরাদ্দ করেন। সরকারি বিধিমতে ভুক্তভোগীদের ইউনিয়ন টাস্কফোর্স কমিটি খসড়া তালিকা করে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির কাছে জমা দিলে উপজেলা কমিটি তা যাচাই-বাছাইপূর্বক অনুমোদন দিবে। অনুমোদিত ওই তালিকায় জেলেদের ৮৬ কেজি চাল বিতরণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তুু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মত চাল বিতরণ করে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু।
সরজমিনে জানা গেছে, গত সোমবার (২ আগস্ট) সাগরের জেলেদের সরকারি সহায়তার চাল ৮৬ কেজি প্রথম ধাপে ৫৬ কেজি চাল বিতরণ করেন নিশানবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ। অর্ধশতাধিক ভুক্তোভোগী জেলে অভিযোগ করে বলেন, তালিকা ছাড়াই চেয়ারম্যান নিজের আস্থাভাজনদের দিয়ে নিজের মনগড়া ১৬৭ জনের তালিকার প্রত্যেককে ৫৬ কেজির পরিবর্তে ৫০ কেজির ১ বস্তা করে আবার ২ জনকে ১ বস্তা করে চাল বিতরণ করেন। এছাড়াও চাল বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার উপস্থিত না থাকা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবহিত না থাকার বিষয়টিও উঠে আসে ভুক্তভোগীদের বক্তব্যে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির বাগেরহাট জেলা যুগ্ম আহবায়ক ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল আমিন শেখ এ বিষয়ে বলেন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চাল বিতরণে বহু অভিযোগ আমাদের কাছে আসে- সরকারি বিভিন্ন সহায়তা প্রদানে তালিকা করার ক্ষেত্রে উৎকোচ গ্রহণ করা, প্রকৃত অনেক মৎসজীবীদের বাদ দিয়ে  নিজের মনগড়া তালিকা করে চাল বিতরণ করা এবং চালেও কম দেওয়ার অভিযোগ রযেছে।
এ ব্যাপারে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আঃ রহিম বাচ্চু বলেন, তিনি প্রকৃত জেলেদের মধ্যে ১৬৭ জনকে জন প্রতি ৫৬ কেজি চালই বিতরণ করেছেন । এছাড়া ২ জনকে ১ বস্তা চাল বিতরণের কথা অস্বীকার করে বলেন চাল নিয়ে বাড়িতে বসে কেউ ভাগাভাগি করে নিতে পারে। তবে ভুক্তভোগীদের মধ্যে একাধিক ব্যাক্তি ৫০ কেজি ১ বস্তা আবার ২ জনে ১ বস্তা করে পেয়েছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।
এ বিষয়ে তদন্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট উর্ব্ধতন কতর্ৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে ভুক্তোভোগীদের দাবি । তবে এ সকল অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ।